বাংলাদেশ বিস্ময়, পাকিস্তান ধ্বংসস্তুপ!!

ভারতশাসিত কাশ্মিরের শ্রীনগর থেকে প্রকাশিত জনপ্রিয় সাময়িকী কাশ্মির সেন্ট্রালের জানুয়ারি সংখ্যার প্রচ্ছদ প্রতিবেদনে স্থান পেয়েছে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান নিয়ে তুলনামূলক চিত্র। প্রচ্ছদে পাশাপাশি দুটো ছবি বাঁয়ে ঢাকার শাপলা চত্বরের ঝকঝকে দৃশ্য। সঙ্গে ক্যাপশন বাংলাদেশ—এক অলৌকিক উন্নয়নের কাহিনি। পাশেই পেশোয়ারের রাস্তায় একটি আত্মঘাতী বোমা হামলার দৃশ্য, নিচে লেখা পাকিস্তান—একটি বিপর্যয়ের বৃত্তান্ত। কাশ্মিরের সাংবাদিক ও গবেষক বসির আসাদ দেখিয়েছেন, পাকিস্তানকে কীভাবে আর্থসামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বহুদূর এগিয়ে গেছে। একইসঙ্গে পাকিস্তানে এতো মৃত্যু আর রক্তপাত হচ্ছে যে তারা হিসাব রাখাই বাদ দিয়েছে। শুরুতেই পাকিস্তানি অর্থনীতিবিদ ও বিশ্বব্যাংকের সাবেক উপদেষ্টা আবিদ হাসানের একটি মন্তব্য সংযোজিত হয়েছে। আবিদ বলেন, পাকিস্তানের হতাশাজনক যাত্রভঅব্যাহত থাকলে ২০৩০ সাল নাগাদ পাকিস্তানকে হয়তো বাংলাদেশের কাছেও জন্য হাত পাততে হবে। পাকিস্তানি বিশেষজ্ঞদের বরাতে ওই প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, তাদের সরকার কার্যত ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে ধনী দেশগুলোর দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পরিণামে দেশটি আকণ্ঠ ঋণের বোঝায় নিমজ্জিত। অন্যদিকে মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে, বছর কয়েক আগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সেই পূর্বাভাসের কথা। যেখানে তিনি বলেছিলেন ৫০তম জন্মদিনে পৌঁছনোর আগেই বাংলাদেশ অর্থনৈতিক, মানবিক ও সামাজিক উন্নয়নের সব মাপকাঠিতে পাকিস্তানকে অনায়াসে টপকে যাবে। বসির আসাদ লিখেছেন, শেখ হাসিনার সেই ভবিষ্যদ্বাণী যে সর্বাংশে সফল তার প্রধান কারণ যেমন বাংলাদেশের অর্জন, তেমনি অন্য কারণটা হলো পাকিস্তানের রাজনীতির দুর্বৃত্তায়ন, দুর্নীতি আর স্বজনপোষণ। করাচির ইনস্টিটিউট অব বিজনেস ম্যানেজমেন্টের কলেজ অব ইকোনমিক অ্যান্ড স্যোশাল ডেভেলপমেন্টও তাদের নিজস্ব গবেষণায় স্বীকার করে নিয়েছে যে আর্থসামাজিক উন্নয়নের সব সূচকেই বাংলাদেশে পরিষ্কারভাবে পাকিস্তানকে ছাপিয়ে গেছে। সামাজিক খাতে পাকিস্তানের পারফরমেন্স সবচেয়ে হতাশার। তাদের আড়াই কোটি শিশু স্কুলেই যায় না (আলিফ আলিয়ার তথ্য), নারী-পুরুষের বৈষম্য ক্রমাগত বাড়ছে। সারা দুনিয়ার মধ্যে শিশুমৃত্যুর হার পাকিস্তানে সবচেয়ে বেশি। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতের বেহাল দশা, চল্লিশ শতাংশ শিশুর বৃদ্ধিই থমকে আছে। অথচ, পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতারা কেউ এসব নিয়ে চিন্তিত নন এমনটাই বলা হচ্ছে প্রতিবেদনে। বাংলাদেশের তুলনায় পাকিস্তানের পিছিয়ে পড়ার আরেকটি প্রধান কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে নারী শিক্ষার অভাব। বলা হয়েছে পাকিস্তান তার কন্যাশিশুদের শিক্ষাই কোনো ব্যবস্থা করেনি। অন্যদিকে, ২০০৮ সাল থেকে নারীশিক্ষা ও ক্ষমতায়নের ওপর জোর দিয়ে বাংলাদেশের নারীশক্তি একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। দেশের সিভিল সার্ভিস, সেনাবাহিনী, শিক্ষাব্যবস্থা ও শিল্পমহলেও নারীরা এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন

মন্তব্যসমূহ